কিছু অদ্ভুত প্রশ্ন
|| ইসহাক মাহমুদ ||
একদা আমি-
মাথাভর্তি উদ্ভট কিছু প্রশ্ন নিয়ে
পৃথিবীর পথ ধরে হাটছি উত্তরের খোঁজে।
কিছু পথ অতিক্রম করতেই
মিললো এক জ্ঞানীর সন্ধান৷
তাঁর থেকে অনুমতি নিয়েই,
আমি প্রথমে জিজ্ঞেস করলাম তাঁকে,
পৃথিবী হতে পৃথিবীর দূরত্ব কতো?
জ্ঞানী ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলে,
দু'গালে হাত দিয়ে ভাবতে লাগলো জ্ঞানী।
আজব! এমন প্রশ্ন-ও মানুষ করে!
পৃথিবী হতে পৃথিবীর আবার দূরত্ব কিসের!
পাগল নাকি লোকটা!
নাকি হাঁদারাম!
এমন প্রশ্ন কোথায় পেলো,
কে দিলো এই কাম!
আমি পূনরায় জিজ্ঞাস করলাম।
সাগর থেকে সাগরের গভীরতা কতোটুকু?
প্রশ্ন শুনেই মাথা চুল্কাতে শুরু করে দিলো জ্ঞানী।
আবার ভাবতে শুরু করলো।
কি অদ্ভুত প্রশ্ন রে বাবা! সাগর থেকে সাগরের গভীরতা মাপা যায় নাকি!
সাগর তো সাগর ই,
সাগর থেকে সাগরের গভীরতার কথা তো বাপের জন্মেও শুনিনি।
লোকটা নিশ্চয়ই গাঁজা খেয়েছে,
তাইতো এমন উদ্ভট প্রশ্ন পেয়েছে।
আমি আরেকবার জ্ঞানী'কে প্রশ্ন করলাম।
আচ্ছা-
আকাশ থেকে আকাশের উচ্চতা কতফুট?
এবার তো জ্ঞানী মাটিতেই বসে পড়লো।
এদিক-সেদিক তাকিয়ে ভাবতে লাগলো,
লোকটা হয়তো পাগলামি করতেছে।
কি সব আবোলতাবোল বকাবকি করছে!
পৃথিবী থেকে পৃথিবীর উচ্চতার কথা আসলো কোত্থেকে!
পৃথিবী কী আরেকটা আছে!
থাকলে তো বিজ্ঞান অনেক আগেই আবিষ্কার করে ফেলতো তা,
হাজার বছর ধরে-
আমাদের অজানা ছিলো যা।
সবশেষে আমি পুছিলাম জ্ঞানীর কাছে।
আচ্ছা-বলেন তো দেখি,
মরিবার পরেও মানুষ কিভাবে বাঁচে?
কি সাংঘাতিক কথা রে বাপ!
মরার পরেও মানুষ বাঁচে!
শুনিনি তো আগে৷
জ্ঞানীর মাথায় যেনো পড়লো বজ্রপাত,
অজ্ঞান হয়ে-
মাটিতে লুটিয়ে পড়েছে জ্ঞানী।
জ্ঞান হারাবার আগে-
পাগলের মতো হাসতে হাসতে বলে গেলো,
হে পৃথিবী শুনে রাখো
আমি সব জানি,
নই'তো আমি পাগল ভবে
আমি হলাম জ্ঞানী।
1 comment:
Nice but short hole valo hoto
Post a Comment