Monday, August 26, 2019

একটা প্রশ্ন রেখে যাই






হঠাৎ করে তোমার বাড়ির উঠানে গিয়ে
যদি জেদ ধরে বসে অনশন বাধিয়ে দিই,
যদি স্যাটেলাইটের কল্যাণে পুরো পৃথিবী জুড়ে আমাদের মনের সুপ্ত ভালোবাসা প্রকাশ পেয়ে যায়,
কিংবা যদি বাংলার প্রতিটি টং দোকানে-
আমাদের নিয়ে মাতামাতি হয়,
তবে কি সেদিন এই ভবে
ভালোবাসা তার যোগ্য আসন পাবে?

যদি পুরো বিশ্ব আমায় পাগল বলে ডাকে
কিংবা আমি ভবঘুরে হয়ে পথে পথে ঘুরি
প্রতিটি দেয়ালে যদি ভালোবাসার ছাপ এঁকে দিই,
আমাদের দূরত্ব যদি হয় ছয় হাজার মাইল
একযুগ যদি আমাদের দেখাও না হয়-
একটা প্রশ্ন রেখে যাই,
তবে কি সেদিন এই ভবে
ভালোবাসা তার যোগ্য আসন পাবে?

বৃক্ষ,নদী,পাহাড় কিংবা সাগর নতুবা মহাকাশ
যদি অপূর্ণতায় জেদ ধরে থাকে
আমাদের হৃদয়ে যদি ঘূর্ণিঝড়-জলোচ্ছ্বাসও হয়
আমি তুমি আমরা যদি কখনো কাছাকাছি না যাই
দূর থেকে তবে কি ব্যথাতুর হবো দুজনেই!
নতুবা আমি জানতে চাই-
তবে কি সেদিন এই ভবে
ভালোবাসা তার যোগ্য আসন পাবে?

হে অনুপমা-
রাগ করে হলেও আমায় বলে দিও
ভালোবাসলে কেনো মানুষ হয় অপ্রিয়?


একটা প্রশ্ন রেখে যাই   
লেখকঃ ইসহাক মাহমুদ  

Monday, August 19, 2019

দারিদ্রমুক্ত বাংলার স্বপ্ন দেখে কেউকেউ

একটু মাথা গোঁজার ঠাঁই চায় কেউ কেউ,কারো কারো দরকার হয় একটু আশ্রয়।
কেউবা স্বপ্ন দেখে ছোট্ট একটা বাড়ির, যে বাড়িটার চারিপাশ সাজানো থাকবে নানারকম বাহারি ফুল গাছে। দু'চারটা ফলের গাছ থাকলে মন্দ হবেনা,ওষুধি গাছ ও থাকা চাই কয়েকটা।

একবেলা পেটভরে খেতে চায় কেউ কেউ,কারো কারো দরকার হয় পুরো দিনের খাবার।
কেউবা স্বপ্ন দেখে একটা ছোট্ট চাকুরির,যে চাকুরির মাধ্যমে অর্জিত হবে কিছু অর্থ।  এই অর্থের বিনিময়ে মিলবে দু'বেলা দুমুঠো ভাত,পরিধানের কাপড়চোপড়,শিক্ষা,চিকিৎসা।

মানুষগুলো খুব বেশি বড় হতে চায় নাহ,কিংবা বিশাল কোনো স্বপ্নে বিভোর হয়না কখনোই। এদের স্বপ্ন ছোটো, চাহিদা অতি অল্প,তবে আত্মতৃপ্তি অনেক বেশি।
এরা রাজপ্রাসাদের স্বপ্ন দেখেনা,রাজকীয় পোশাকাশাকের জন্য হৈ-হুল্লোড় করেনা কখনোই । এরা অল্পতেই তুষ্ট ।

এরা কখনো কখনো ভিখারি হয়ে হাত পাতে,কখনো কখনো রিক্সা চালক হয়ে প্যাডেল ঘোরাতে থাকে,কখনো কুলি কখনোবা হয়ে যায় টোকাই।

এদেরও একটা গল্প আছে,ঘর আছে,সংসার আছে। পরিবার পরিজন নিয়ে এরাও সুখী হওয়ার ইচ্ছে পোষণ  করে। কিন্তু ওদের গল্প শোনার মতো মানুষের বড্ড অভাব।  কেউবা ওদের গল্প শুনতে চাইলেও তাদের জন্য কিছু করার সামর্থ্য থাকেনা। কারণ সে নিজেও অসহায় । একজন অসহায় মানুষ  আরেকজন অসহায়  মানুষের  সাহায্য করার কথা কেবল কল্পনা-ই করতে  পারে,সেটাকে বাস্তবে রূপান্তরিত করতে  পারেনা কখনোই।

তবুও কেউকেউ স্বপ্ন দেখে একটা দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশের,যে বাংলায় অনাহারে থাকবেনা একটি মুখও। ক্ষুধার তাড়নায় কেউ যেনো কারো কাছে হাত পাততে না হয়,এমন একটি বাংলার স্বপ্ন দেখে কেউকেউ ।

আমি বাংলা চাই দারিদ্রমুক্ত
আমি বাংলা চাই খাটি,
আমি বাংলা চাই দূর্নীতিমুক্ত
বিশুদ্ধ হউক বাংলার মাটি।
আমি বাংলা চাই ন্যায়-নীতির
আমি বাংলা চাই শুদ্ধ,
আমি বাংলা চাই ভেজালমুক্ত
যে বাংলার জন্য মানুষ করেছে যুদ্ধ।

_____ ইসহাক মাহমুদ

Sunday, August 11, 2019

নিজস্ব একটা মানুষ চাই

কিছুদিন যাবত আমাদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন,কারো সাথে কারো কোনো কথা নেই। সে তার পথ ধরে এগিয়ে যাচ্ছে,আর আমি আমার পথ ধরে। দুজন দু'দিকে এগিয়ে যাচ্ছি ক্রমাগত,লক্ষ্য কিংবা কোনো গন্তব্য নেই। কোথায় গিয়ে থামবে আমাদের পদচারণা সেটাও অজানা। শুধু এইটুকুই জানি,আমাদের হাটতে হবে ক্রমাগত। পিছনে ফিরে তাকানো যাবেনা,নতুবা বসে থাকা যাবেনা কখনোই। মৃত্যু অব্ধি আমাদের এভাবেই চলতে হবে।

মনের ভুলেও কোনোদিন আমরা নিজেদের মধ্যে নিজেদের বিলিয়ে দিতে পারবোনা,নিজেদের মধ্যে নিজেদের ঠাঁই দিতে পারবোনা। নতুন করে কাউকে চাইতে পারবোনা,পুরনো কারো কাছে ফিরতে পারবোনা। যেমন আছি তেমনই থাকতে হবে৷

রাত হলেই আমাদের উন্মাদ হয়ে যেতে হবে পৃথিবীর বুকে। চিৎকার দিয়ে বলতে হবে-
আমাদের নিজস্ব যে মানুষটা ছিলো               
তার আয়ুষ্কাল ফুরিয়ে গেছে বিধায় সে আমাদের ছেড়ে চলে গেছে।
তাই আমরা পৃথিবীর এক সীমান্ত থেকে অন্য সীমান্তে নিজেদের একাকীত্বের গর্জন দিয়ে বেড়াই।

আমরাও বলে বেড়াই-
আমাদের নিজস্ব একটা মানুষ নাই
আমাদের নিজস্ব একটা মানুষ চাই।                                         
লেখকঃ ইসহাক মাহমুদ
১১/০৮/২০১৯
রবিবার
চৌদ্দগ্রাম,কুমিল্লা