কবিতাঃ খামখেয়ালি ইচ্ছে
লেখকঃ ইসহাক মাহমুদ
__________________
আমার খামখেয়ালি ইচ্ছেগুলো
ইচ্ছেতে আর পায়না ঠাঁই,
রঙবেরঙ এর নানান স্বপ্ন
খুঁজে দেখি কোথাও নাই৷
আমার হাসিমাখা ছেলেবেলা
বড় হতেই গেলো কই!
মনের সাথে মনের বিবাদ
অবাক হয়ে তাকিয়ে রই!
আমার কাঠপেন্সিলে আঁকা বিষাদ
বাস্তবে আজ নিলো রূপ,
ওরা খেলে ওদের মতই
আমি কেবল থাকি চুপ৷
আমার ভালোবাসার নীল পরীটাও
রাজা পেয়ে গেলো চলে,
আমি শুধু আমিই রইলাম
একাকীত্বের অথই তলে৷
আমার ভালো থাকার কিশোর বেলার
বন্ধুটাও আজ অনেক দূর,
পড়ে রইলাম নির্জনে তে
নাম নাকি তার অচিনপুর৷
Thursday, November 22, 2018
Wednesday, November 21, 2018
Romantic Story (মহারাণীর শাসন - Moharanir Shason)
নিশাতের ফোন কলে ঘুম ভাঙ্গলো,কোনোরকম চোখ কচলে কল রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে বিশাল ধমকের সুরে নিশাত চেচিয়ে বলো উঠলো-
"কি হলো,নবাবজাদার এখনো ঘুম ভাঙ্গেনি?"
ঘড়ির দিকে তাকাতেই দেখি সকাল ১০:৪২ টা। এই যা আজকে আর রক্ষা নেই। ১০ টা বাজে নিশাতের সাথে ক্যাম্পাসে দেখা করার কথা। আর আমি কিনা এখনো ঘুমাচ্ছি।
- নিশাত,তুমি ১০ টা মিনিট অপেক্ষা করো। আমি ১০ মিনিটের ভিতরেই ক্যাম্পাসে হাজির হচ্ছি।
- গুল্লি মারি তোমার ১০ মিনিটের। তোমার আসতে হবেনা। আমি চললাম বাড়ির উদ্দেশ্যে।
-- এই প্লিজ প্লিজ,যেও নাহ। তুমি গেলে আমার বিশাল ক্ষতি হয়ে যাবে। ১০ টা মিনিট ই তো।
-- আচ্ছা আসো নবাবজাদা। আজকে তোমার হাল খারাপ না করে তাহলে আমি আর যাচ্ছি নাহ৷
-- থ্যাংক ইউ মহারাণী।
একটা ইন্টারেস্টিং ব্যাপার হচ্ছে আমাদের মধ্যে দুজনের একজন রেগে গেলেই আমি নিশাতকে মহারাণী নামে ডাকি,আর নিশাত আমাকে বানিয়ে দেয় নবাবজাদা।
নিশাত আমার ক্লাসমেট। আমরা দু'জন ই একই ডিপার্টমেন্টে পড়ি। ভার্সিটিতে আসার পরে অনেক বন্ধুর ভীড়ে আমার বন্ধু তালিকায় নিশাতের আগমন ঘটেছিল হঠাৎ করেই৷ পুরো ভার্সিটি জুড়ে নিশাত ই আমার একমাত্র মেয়ে বন্ধু। অনেকেই আমাদের বন্ধুত্বটাকে অন্য দৃষ্টিতে দেখে৷ তাদের ধারণা আমরা প্রেম আবদ্ধ আছি। তবে সেদিকে আমার আর নিশাতের কর্ণপাত নেই। আমরা আমাদের মতই চলছি ফিরছি। গত সাড়ে ৩ বছরে ওকে যতটা জ্বালিয়েছি,অন্যকেউ হলে এতদিন সহ্য করে থাকতো বলে আমার মনে হয়না৷
নিশাতের একটা বিশেষ গুণ হচ্ছে সে কখনোই আমার উপর বিরক্তবোধ করেনি। এমনও দিন গেছে তাকে তীব্র রৌদ্রে ২ ঘন্টা ও দাড় করিয়ে রেখেছি অপেক্ষা করতে বলে। আমি কখনো তার ভিতরে এর জন্য রাগ দেখিনি। এমন একটা বন্ধু পাওয়া আসলেই ভাগ্যের ব্যাপার।
_
কোনোমতে ফ্রেশ হয়েই ক্যাম্পাসের দিকে দিলাম দৌড়। ১০ মিনিটের কথা বলে আজকেও অনেকক্ষণ দাড় করিয়ে রেখেছি।
-সরি,সরি,সরি৷ বুঝতেই পারছি মহারাণী আজকে ভিষণ ক্ষ্যাপা আমার উপর। আপনি যে শাস্তি দিবেন,সে শাস্তি আমি মাথা পেতে নিবো জনাবা।
- ইয়ার্কি করা হচ্ছে আমার সাথে তাইনা? দাড়াও দেখাচ্ছি তোমার ইয়ার্কির ফল।
এই বলেই আমার পিঠের উপর ঘূর্ণিঝড় শুরু হয়ে গেল।
বন্ধুত্বের ভীড়েও যে এমন ভালোবাসার শাসন চলে সেটা কেউ আঁচ করতে পারেনা। বেশিরভাগ লোক ই এটাকে প্রেমের সম্পর্কে গুলিয়ে ফেলে।
ছোটগল্পঃ মহারাণীর শাসন
লেখকঃ ইসহাক মাহমুদ
"কি হলো,নবাবজাদার এখনো ঘুম ভাঙ্গেনি?"
ঘড়ির দিকে তাকাতেই দেখি সকাল ১০:৪২ টা। এই যা আজকে আর রক্ষা নেই। ১০ টা বাজে নিশাতের সাথে ক্যাম্পাসে দেখা করার কথা। আর আমি কিনা এখনো ঘুমাচ্ছি।
- নিশাত,তুমি ১০ টা মিনিট অপেক্ষা করো। আমি ১০ মিনিটের ভিতরেই ক্যাম্পাসে হাজির হচ্ছি।
- গুল্লি মারি তোমার ১০ মিনিটের। তোমার আসতে হবেনা। আমি চললাম বাড়ির উদ্দেশ্যে।
-- এই প্লিজ প্লিজ,যেও নাহ। তুমি গেলে আমার বিশাল ক্ষতি হয়ে যাবে। ১০ টা মিনিট ই তো।
-- আচ্ছা আসো নবাবজাদা। আজকে তোমার হাল খারাপ না করে তাহলে আমি আর যাচ্ছি নাহ৷
-- থ্যাংক ইউ মহারাণী।
একটা ইন্টারেস্টিং ব্যাপার হচ্ছে আমাদের মধ্যে দুজনের একজন রেগে গেলেই আমি নিশাতকে মহারাণী নামে ডাকি,আর নিশাত আমাকে বানিয়ে দেয় নবাবজাদা।
নিশাত আমার ক্লাসমেট। আমরা দু'জন ই একই ডিপার্টমেন্টে পড়ি। ভার্সিটিতে আসার পরে অনেক বন্ধুর ভীড়ে আমার বন্ধু তালিকায় নিশাতের আগমন ঘটেছিল হঠাৎ করেই৷ পুরো ভার্সিটি জুড়ে নিশাত ই আমার একমাত্র মেয়ে বন্ধু। অনেকেই আমাদের বন্ধুত্বটাকে অন্য দৃষ্টিতে দেখে৷ তাদের ধারণা আমরা প্রেম আবদ্ধ আছি। তবে সেদিকে আমার আর নিশাতের কর্ণপাত নেই। আমরা আমাদের মতই চলছি ফিরছি। গত সাড়ে ৩ বছরে ওকে যতটা জ্বালিয়েছি,অন্যকেউ হলে এতদিন সহ্য করে থাকতো বলে আমার মনে হয়না৷
নিশাতের একটা বিশেষ গুণ হচ্ছে সে কখনোই আমার উপর বিরক্তবোধ করেনি। এমনও দিন গেছে তাকে তীব্র রৌদ্রে ২ ঘন্টা ও দাড় করিয়ে রেখেছি অপেক্ষা করতে বলে। আমি কখনো তার ভিতরে এর জন্য রাগ দেখিনি। এমন একটা বন্ধু পাওয়া আসলেই ভাগ্যের ব্যাপার।
_
কোনোমতে ফ্রেশ হয়েই ক্যাম্পাসের দিকে দিলাম দৌড়। ১০ মিনিটের কথা বলে আজকেও অনেকক্ষণ দাড় করিয়ে রেখেছি।
-সরি,সরি,সরি৷ বুঝতেই পারছি মহারাণী আজকে ভিষণ ক্ষ্যাপা আমার উপর। আপনি যে শাস্তি দিবেন,সে শাস্তি আমি মাথা পেতে নিবো জনাবা।
- ইয়ার্কি করা হচ্ছে আমার সাথে তাইনা? দাড়াও দেখাচ্ছি তোমার ইয়ার্কির ফল।
এই বলেই আমার পিঠের উপর ঘূর্ণিঝড় শুরু হয়ে গেল।
বন্ধুত্বের ভীড়েও যে এমন ভালোবাসার শাসন চলে সেটা কেউ আঁচ করতে পারেনা। বেশিরভাগ লোক ই এটাকে প্রেমের সম্পর্কে গুলিয়ে ফেলে।
ছোটগল্পঃ মহারাণীর শাসন
লেখকঃ ইসহাক মাহমুদ
Tuesday, November 20, 2018
Bangla Emotional poem (বাংলা ইমোশনাল কবিতা)
কবিতাঃ আমার আকাশ রাগ করেছে
লেখকঃ ইসহাক মাহমুদ (আরিয়ান)
_____________________
নিজের মতই চলছি ভালো
কেনো আসলি তুই?
একা একা চলতেই গিয়েই
হয়ে গেলাম দুই।
_
হনহনিয়ে দিন কাটাতাম
ছিলো না কারো আসন,
আমার রাজ্যে ভাগ বসিয়ে-ই
করে গেলি শাসন।
_
আমি নিরব হয়েই সয়েছি কেবল
তোর শাসনের ভার,
ভালোবাসার আদর ভেবেই
করেছি দিন পার ।
_
দিন গেলো মোর মাস গেলো মোর
সময় ও গেলো চলে,
তাদের সাথে তাল মিলিয়ে
তুই ও তাদের দলে!
_
দূরের আকাশ সঙ্গী ছিলো
সে ই তো বেশ ভালো,
আধার টুকু বুকে দিয়ে
কেড়ে নিলি আলো।
_
আমার আকাশটা তাই রাগ করেছে
চিৎকার দেয় রোজ,
বজ্রপাতের আলো দিয়েই
নিচ্ছে আমার খোঁজ।
লেখকঃ ইসহাক মাহমুদ (আরিয়ান)
_____________________
নিজের মতই চলছি ভালো
কেনো আসলি তুই?
একা একা চলতেই গিয়েই
হয়ে গেলাম দুই।
_
হনহনিয়ে দিন কাটাতাম
ছিলো না কারো আসন,
আমার রাজ্যে ভাগ বসিয়ে-ই
করে গেলি শাসন।
_
আমি নিরব হয়েই সয়েছি কেবল
তোর শাসনের ভার,
ভালোবাসার আদর ভেবেই
করেছি দিন পার ।
_
দিন গেলো মোর মাস গেলো মোর
সময় ও গেলো চলে,
তাদের সাথে তাল মিলিয়ে
তুই ও তাদের দলে!
_
দূরের আকাশ সঙ্গী ছিলো
সে ই তো বেশ ভালো,
আধার টুকু বুকে দিয়ে
কেড়ে নিলি আলো।
_
আমার আকাশটা তাই রাগ করেছে
চিৎকার দেয় রোজ,
বজ্রপাতের আলো দিয়েই
নিচ্ছে আমার খোঁজ।
Friday, November 16, 2018
গুরু ভক্তি | ইসহাক মাহমুদ
আমি অধম ছাত্র মানুষ
শিখছি কেবল কিছু,
কাব্যকৌশল শিখার জন্য
ছুটছি গুরুর পিছু।
গুরু আমায় যা শেখালেন
তাতেই নাকি অনেক ভুল,
ওরা যেটা "পাড়" ভেবে নেয়
গুরুর কথায় সেটা কূল।
আমি অধম ছাত্র মানুষ
জায়গায় জায়গায় উল্টা লিখি,
ওরা যেথায় আকাশ ভাবে
আমি সেথায় গগন দেখি।
তাল বাহানায় চুলা'টাকেও
উনুন ভেবে ভুল করি,
তাদের পড়া "বরই" টাকে
আমি শুধু "কুল" পড়ি।
আমি অধম ছাত্র মানুষ
শিখতেই আমায় হবে,
গুরুর কথার দাম না দিলে
উঁচুতে নাকি যাবো তবে!!
এমন কথার ধার ধারী নাহ
গুরুর কাছেই শিখবো,
যে শিখালেন হরেক ছন্দ
তাকে নিয়েই লিখবো।
এই জগতে গুরু ছাড়া
যায়নি কেউ উঁচুতে,
গুরুকে যে দেয়নি সম্মান
সে মিটেছে নীচু তে।
কবিতাঃ গুরু ভক্তি
লেখকঃ ইসহাক মাহমুদ
শিখছি কেবল কিছু,
কাব্যকৌশল শিখার জন্য
ছুটছি গুরুর পিছু।
গুরু আমায় যা শেখালেন
তাতেই নাকি অনেক ভুল,
ওরা যেটা "পাড়" ভেবে নেয়
গুরুর কথায় সেটা কূল।
আমি অধম ছাত্র মানুষ
জায়গায় জায়গায় উল্টা লিখি,
ওরা যেথায় আকাশ ভাবে
আমি সেথায় গগন দেখি।
তাল বাহানায় চুলা'টাকেও
উনুন ভেবে ভুল করি,
তাদের পড়া "বরই" টাকে
আমি শুধু "কুল" পড়ি।
আমি অধম ছাত্র মানুষ
শিখতেই আমায় হবে,
গুরুর কথার দাম না দিলে
উঁচুতে নাকি যাবো তবে!!
এমন কথার ধার ধারী নাহ
গুরুর কাছেই শিখবো,
যে শিখালেন হরেক ছন্দ
তাকে নিয়েই লিখবো।
এই জগতে গুরু ছাড়া
যায়নি কেউ উঁচুতে,
গুরুকে যে দেয়নি সম্মান
সে মিটেছে নীচু তে।
কবিতাঃ গুরু ভক্তি
লেখকঃ ইসহাক মাহমুদ
Subscribe to:
Posts (Atom)