Friday, August 26, 2022

দুই'শ বছর আগে যদি জন্ম হতো | ইসহাক মাহমুদ


 

❝ দুই'শ বছর আগে যদি জন্ম হতো ❞
 ইসহাক মাহমুদ

আমার জন্ম যদি আরো দুই'শ বছর আগে হতো,
তবে এই শহরের মিথ্যে ভালোবাসার কবলে-
হয়তো আমি পড়তাম নাহ৷

পড়তাম নাহ কোন ছলনাময়ী প্রেমিকার কবলে,
আগ্রাসী মনোভাব নিয়ে কেউ হয়তো-
আঘাত করার সুযোগ পেতো নাহ সরাসরি।

আধুনিক হতে হতে মানুষের মনগুলোও যে
এতো আধুনিকতার ছোঁয়া পেয়ে যাবে
এটা আমার ভাবনায় ছিলো না!

কবুতের পায়ে করে বার্তা পাঠিয়ে
যে যুগে প্রেম নিবেদন চলছিলো,
সে যুগে আমি জন্মালে হয়তো ভালো হতো।

বিশ্বাস আর আকাঙ্খা নিয়ে ছিনিমিনি খেলার লোক
ঐ যুগে কম ছিলো;
যারা ভালোবেসেছিল-
তারা সে যুগে মন থেকেই ভালোবাসতো।

ছেড়ে দিবে ভেবে
ভালোবাসার আদান-প্রদান তখন হতো নাহ,
ছাড়াছাড়ি হলেও সেটা অতি নগণ্য ছিলো৷

তখন ভালোবাসারা মরলে একসাথে মরতো,
আর বাঁচলে একসাথেই বাঁচতো;
কিন্তু এখন তো ভালোবাসারা ৪২ দিনও টিকেনা।

আধুনিক যুগে ভালোবাসারা আপডেট হতে চায়,
আপডেট হয়েই পুরাতন সত্ত্বাকে ভুলে যায়,
নতুন সত্ত্বায় চলে নানান রঙের  ভালোবাসা বিনিময়।

এসব দেখেই আমার অনুভুতিরা
আমার কানের কাছে এসে চিৎকার করে বলে বেড়ায় -
আমার আরো দুই'শ বছর আগে জন্মানো উচিত ছিলো।


| ২৪.০৮.২০১৮ |


Monday, April 26, 2021

Is this human born || Ishak Mahmud

 I have a mother, yes we have a mother

But-

The child that the mother lost on the day of birth,

He also had a mother, or-

That child rises from the sewer or pile of dirt

He lost his old mother and came to his new mother's lap

He also had a mother, maybe still has.

If I have 'mother', I become a name

Who has or had no mother,

Maybe someone who still has a mother unknowingly,

He and I had the same definition

We humans are born.


But-

To this society, except me and us

Whose mother died after birth; and-

Whose mother is left in the sewers, drains, piles of garbage

Their definition has changed!

Society has given me a civilized name

He who has no mother has given him a helpless name

The one whose mother has left him is given a vulgar name

I, we and they are born human

A man, an orphan

I got the reputation of being a 'bastard'

Is this the success of human birth?


Poem:  Is this human born

 Poet: Ishak Mahmud 


26.04.2021

Thursday, January 14, 2021

দেশের ভবিষ্যত || Desher Vobissot

 যার যেখানে থাকার কথা সে সেখানে নাই

একের বাসায় অন্যজন হায় নিয়ে নিলো ঠাঁই,

অবাক চোখ তাকিয়ে থেকে দিলাম নজরদারি 

খাঁচার পাখি মুক্ত ঘুরে; খাঁচায় কার বাড়ি! 


স্বাধীন মানুষ বন্দী থাকে নিজগুণের'ই ছোঁয়ায় 

মোবাইল হাতে ভালোই আছে বিশ্ববাসীর দোয়ায়,

এই না হলো দেশের ছেলে; রাখবে দেশের মান

দেশ বাঁচাতে ইন্টারনেটেই দিয়ে দিচ্ছে প্রাণ৷ 


যার যেখানে থাকার কথা সে সেখানে নাই

সে যে হলো বন্দী নিজে; আয় হায় হায় হায়! 

এরাই দেশের ভবিষ্যত সুধী সমাজ বলেন?

দেশের কথা ভেবে একটা  মিটিং করি চলেন। 


____________________________________

কবিতাঃ দেশের ভবিষ্যত

কলমেঃ ইসহাক মাহমুদ


 ১৪০১২০২১

Tuesday, November 10, 2020

দশটি অনুকাব্য || Ten Short Poem

(১)

অন্তরে বাঁধিবঅন্তরঅলিন্দ

গেঁথে প্রেম-মালা,
রাখিব হৃদে শক্ত বাঁধনে
লাগিয়ে মায়া তাল। 
           

(২)

আলো'তে হয় যদি মাখামাখি হৃদয়ের

উড়িয়ে দিও প্রেম ঘুড়িতে,

টেনে নিতে চাও যদি ভালোবেসে মনেতে

জনম জনম চাই পুড়িতে।          



(৩)
তুমি হীনা এক-আধ রাত,
মনে হয় দীর্ঘ যুগের দীর্ঘ প্রভাত।         


(৪)
আমার একলা থাকার মানে সে-ও জানে
যে ছেড়েছে মাঝপথে'তে কাল,       
আমি দাপিয়ে বেড়াই তাহার খোঁজে-টানে
ভেঙ্গে গেছে জীবন গাছের ঢাল।           


(৫)
ছাড়তে পারি সব বদভ্যাস   
যদি তুমি চাও,
  তোমাকে মনে রাখার বদভ্যাসের
কেবল সুযোগ দাও। 

   ভুলতে পারি পুরোটা পৃথিবী
একটুখানি বাদে,
    যেখানটাতে আলাপে জড়াবো 
      দু'টো মনের ছাদে।    


(৬)
চোখ খুলতেই হঠাৎ তুমি সামনে এলে 
     বুকের ভিতর জায়গা করে থমকে দিলে,
      সেই যে গেলে কই হারালে কই হারালে 
  আমায় ছেড়ে কোন সুদূরে,কোন আড়ালে?            


(৭)
হারিয়ে গেলে খুঁজে নিও
ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইলে, 
      তোমার সব অসুখ সারবে
আমি নামক এক ফাইলে।    


(৮)
প্রতিদিন-ই দেখা হতো আমাদের 
মানব শূন্য ভূমি কিংবা কোলাহলে,      
হঠাৎ হারাতেই দেখা হয়নি ফের
পাইন খুঁজে তোমায় আর ধরাতলে।  


(৯)
উদিত সূর্যের আলো; আর-
দিনের তেজী ভাব,    
অস্ত হলেই সন্ধ্যায় হারায়
চাঁদের আলো'ই লাভ।   


(১০)
বাঁচার তাগিদ সবারই আছে 
আমারও কি কম?
     তবুও মরে ছাড়তে হবে; ওরে-
এসে গেলে যম।     


 

Saturday, April 11, 2020

Love to live back || Ishak Mahmud || বেঁচে ফিরলে ভালোবাসিস || ইসহাক মাহমুদ



Love to live again
Tell me to forget when you die?
Maybe the road will be closed soon
I will be surrounded by a party of birds.

Do not know my hubby during this time
Live a few days as a human being,
If the grace of the widow is on earth a few days
But keep me company as an enemy.

I can't be a darling, a friend or an enemy
Kir, will you push away with false excuse?
Satan is an enemy to us forever
He is also with us in the veins.

Love to live again
Or pull it close to hit it,
People have never been immortal since living
I love to be immortal by killing.
_________________________
Poem: love to live back
Author: Ishak Mahmud 

[24-03-2020]

Tuesday, March 17, 2020

শতবর্ষে বঙ্গবন্ধু || ইসহাক মাহমুদ

টুঙ্গিপাড়ায় জন্ম নেয়া খোকার বয়স শত
নিরানব্বই গতকালই হয়ে গেছে গত,
সায়েরা খাতুন মা হয়েছেন
দুঃখকষ্ট খুব সয়েছেন
লুৎফর রহমান বাবা হলেন; পুত্রসন্তান খোকা
এই খোকা যে দেশ চালাবে জানত কে রে বোকা!

সাত বছরে স্কুলে'তে পড়লো খোকার পা
নয় বছরে অন্য স্কুল দেখলো খোকার গা,
চৌদ্দ যেতেই পড়লো খোকা ভীষণ বেকায়দায়
চার বছর তার নষ্ট হলো চোখের চিকিৎসায়।

মিশনারি স্কুল থেকেই রাজনীতি তে আসা
পঁচাত্তরে গিয়ে থামলো রাজনীতির শেষ হাসা,
ইসলামিয়া কলেজ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
আইনের ছাত্র খোকার ছিলো সবকিছুতেই জয়।

ভাসানী আর ফজলুল হকের সান্নিধ্য পেয়ে
ছোট্ট খোকা দেশের গান আজীবন গেলো গেয়ে,
রাজনীতি আর ষড়যন্ত্রের গ্যাঁড়াকলে পড়ে
জেলে থেকেও দেশের জন্য সাহসে গেছে লড়ে।

সৎসাহস আর বুকের ভিতর খোকার ছিলো তেজ
খোকার আওয়াজ শুনে পাকি গুটিয়ে নিয়েছে লেজ,
সেই খোকা ই 'বঙ্গবন্ধু' বাংলাদেশের ঋণ
আজকে খোকা শতবর্ষে "খোকার জন্মদিন"।
________________________
 শতবর্ষে বঙ্গবন্ধু 
|| ইসহাক মাহমুদ ||

[ ২০০৪ সালে বিবিসির একটি জরিপে 'হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী' হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর সর্বাধিক সর্বাধিক ভোটপ্রাপ্ত হন। ]

Sunday, March 15, 2020

উড়াল দিবো মৃত্যুপুরীতে || Ural Dibo Mrittupurite || ইসহাক মাহমুদ


খুব প্রয়োজন? কাছে ডাকো
কাজ ফোরালে তাড়াও,
কান্না প্রিয়? হাসতে শিখ
হাসির মাঝে হারাও।

বুকে আগুন? পানি ঢালো
কমুক মনের ব্যথা,
আকাশ দেখো? জ্যোৎস্না রাতে
চাঁদের সাথে হয় কথা?

আমায় ভাবো? দরকার নেই
খোঁজো নতুন মানুষ ,
বুঝের অভাব? শিখে নাও
কেমনে উড়ায় ফানুস।

সঙ্গে যাবে? দূর-বহুদূর
পাবে নাতো ভয়?
উড়াল দিবো মৃত্যুপুরীতে
ভয়কে করে জয়।

আবার কাঁদছো? কান্না থামাও
শক্ত করো মন,
আমার হবে? এই ধরাতে
নাই তার প্রয়োজন।
____________________
কবিতাঃ উড়াল দিবো মৃত্যুপুরীতে
লেখকঃ ইসহাক মাহমুদ

|| ১৫-০৩-২০২০ ||

Saturday, February 8, 2020

বোকা হলেই ধোঁকা খাবি || Boka Holey Dhoka Khabi ||


      বোকা হলেই ধোঁকা খাবি
        || ইসহাক মাহমুদ ||
           ___________________

তোমার আমার বয়স বাড়ছে ক্রমাগত,
চোখের দিকে তাকানোর স্পর্ধা নেই আর ।
স্মৃতিগুলো এখন বড্ড শাসন করে।
বলছে'টা কি জানো? "প্রেমে পরবি আর?
বোকার মতো প্রেমে পরলে ধোঁকা খাবি,
এটাই তো তোর জন্য শ্রেষ্ঠ উপহার।"

আমি মোহে আঁটকে নষ্ট করলাম সময়,
সময় এখন নষ্ট করছে আমায়।
মোহের ফাঁদে বন্দী হয়েই পরেছিলাম বেকায়দায়।
গুরুত্বপূর্ণ মূহুর্তগুলো করেছি ছারখার।
স্মৃতিগুলো এখন বড্ড শাসন করে।
বলছে'টা কি জানো? "প্রেমে পরবি আর?
বোকার মতো প্রেমে পরলে ধোঁকা খাবি,
এটাই তো তোর জন্য শ্রেষ্ঠ উপহার।"

আমি এখন কষ্ট পেলেও হাসি,
যাচ্ছে জীবন যেমনতেমন ভালোই।
মনটা আমার এদিক-সেদিক উড়াল দিতে গিয়ে,
বলছে'টা কি জানো? "প্রেমে পরবি আর?
বোকার মতো প্রেমে পরলে ধোঁকা খাবি,
এটাই তো তোর জন্য শ্রেষ্ঠ উপহার।"


Monday, December 30, 2019

নিষেধাজ্ঞা || ইসহাক মাহমুদ ||

নিষেধাজ্ঞার জের ছিলো যখন,তখন আমি চষে বেড়িয়েছিলাম তোমার ত্রিসীমানায়। আমাকে অবরুদ্ধ করে রাখার সাহস হয়নি কারোই। 

অথচ,এখন কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। কিন্তু আমি তোমার আশেপাশে যেতেই ভয় পাই। ভয় পাই তোমাকে ভালোবাসতে। তোমাকে নিয়ে অল্প চিন্তাতেও আমার শরীরে কাঁপুনি সৃষ্টি করে। 

কি অদ্ভুত তাইনা? হৃদয় বিনিময়ের এ-যুগে চুন থেকে পান খসলেই কৈফিয়ত দিতে দিতে হয়রান হতে হয়, আর সেখানে যদি দূরত্বের প্রশ্ন আসে তবে তো আর কথাই নেই। সম্পর্কের নাম বদলে গিয়ে চেনাজানা কেউ তে রূপান্তরিত হয়। 

দূরত্ব বাড়লে কেবল গুরুত-ই কমেনা,হৃদয়ের পুরুত্বে প্রিয়জনের স্থায়িত্বেরও রদবদল হয় অনায়াসে। 

_________________________
লেখকঃ ইসহাক মাহমুদ 

Thursday, December 26, 2019

আকাশ ছুঁয়ে উড়তে চাওয়া || ইসহাক মাহমুদ || কবিতা ২০১৯ ||



এইযে আমি আকাশ ছুঁতে বায়না ধরি
আসলে কী আকাশ ছোঁয়া যায়?
এইযে আমি পক্ষী হয়ে ভুবন জুড়ে উড়তে চাই
উড়ার মতো আছে কী সহজ উপায়?

তুমিও জানো আমিও জানি এসবকিছু মিথ্যে
ভুল জিনিসের প্রতি আমার টান,
না দেখেও মায়ায় ডুবে হৃদয় মাঝে লাগাই আগুন
ঝলসে গিয়ে পুড়ে মরে আমার প্রাণ।

আকাশ ছুঁতে বায়না আর উড়তে চাওয়ার আশা
স্বপ্ন দেখেই আমার ভিতর জাগে,
যায়না ছোঁয়া যায়না উড়া আকাশ কিংবা ভুবনে
সব জেনে তাই চুপ করেছি রাগে।
______________________________
 আকাশ ছুঁয়ে উড়তে চাওয়া
 || ইসহাক মাহমুদ ||

Wednesday, December 25, 2019

আমাদের রাগ || Amader Rag ||

আমাদের রাগ
|| ইসহাক মাহমুদ  ||


তুমিও পোষো আমিও পুষি
  তোমার দোষে আমিও দোষী, 
তোমারও কমেনা আমিও কমাইনি
  দুজনের রাগ কেউই দমাই-নি। 

   তুমিও হেরেছ আমিও হেরেছি
   রাগের কাছে উভয়েই মরেছি,
তোমারও জমেনা আমিও জমাইনি
   হিংসা ক্রোধ কেউই দমাই-নি। 

   তুমিও রাগী আমিও রাগী 
     রাগ করিনি ভাগাভাগি, 
তোমারও যায়না আমিও ছাড়িনি 
 রাগের জন্যেই মিলতে পারিনি। 

তুমিও পোষো আমিও পুষি 
তোমার দোষে আমিও দোষী। 
___________________


Monday, December 9, 2019

বুকের ভিতর বুকের আশা || বাংলা কবিতা || Bangla Poem 2019 ||


বুকের ভিতর বুকের আশা  
|| ইসহাক মাহমুদ ||



বুকের ভিতর বুকের জন্য
নতুন একটা মুখ খুঁজে যাই,
নতুন একটা বুক পেতে আজ
বুকের ভিতর চোখ খুলে চাই।
মিললে একটা বুকের সন্ধান
করবোনা আর বাড়াবাড়ি,
বুকের ভিতর বুকের জন্য
লাগবেনা আর কাড়াকাড়ি।

একটা বুকের জন্য গেলাম
দশেক বুকের কাছাকাছি,
বুকের জন্য বুক মিলেনা;
বুক করে তাই নাচানাচি ।
বুকের ভিতর সুখের আশায়
বুকের জন্য বনে গেলাম,
মুখ লুকিয়ে বুক না পেয়ে
বুকের আশা ছেড়েই দিলাম।

________________________

Tuesday, December 3, 2019

আমার প্রিয় আপন দেশ || দেশাত্মবোধক কবিতা ||

আমার প্রিয় আপন দেশ
ইসহাক মাহমুদ 


একটি পতাকার জন্য মোরা
লড়েছি নয়'টি মাস,
বুকের তাজা রক্ত দিয়েছে 
ত্রিশ লক্ষ লাশ। 

পাক হানাদের তাড়িয়ে দিতে
জীবন করেছে দান,
সম্ভ্রম হারিয়ে মা-বোন এনেছে 
স্বদেশের সম্মান। 

বিজয়ের মাস এই ডিসেম্বর 
রক্ত দিয়ে কেনা,
এমন দেশ আর কোথাও নেই
এক'নামে যায় চেনা। 

মাতৃভূমির ধুলোয় মিশে আছে 
আমার গায়ের ঘাম, 
আমার প্রিয় আপন দেশ
বাংলাদেশ যার নাম। 

_____________________
কবিতাঃ আমার প্রিয় আপন দেশ
        || ইসহাক মাহমুদ ||

Thursday, November 21, 2019

ইসহাক মাহমুদ এর অণুকাব্য (৩১-৬০)

ইসহাক মাহমুদ এর
অণুকাব্য 


৩১) 
হে প্রিয় স্বদেশ-
সবুজের বুকে রক্তের দাগ
ভুলিনি আজও মোরা,
তোমায় বাঁচাতে লাখো প্রাণ শহীদ
লাখো প্রাণ গিয়েছে পোড়া। 
তোমাকে বাঁচাতে সম্ভ্রম হারিয়েছে মা
বোনের ইজ্জতে পড়েছে কালি,
তবুও তোমায় বাঁচিয়েছিল সবে
দিয়েছিল সবে জীবনের বলি। 

৩২) 
আপন মানুষ না পেলে
মানুষ কেন যায় চলে!
মনের ভিতর প্রশ্ন জাগে,
জীবন দিচ্ছো কিসের রাগে?
আত্মহত্যা মহাপাপ 
সেটা সবাই জানে
তবুও ক্যান মানুষ মরে; 
ভালোবাসার টানে! 

৩৩) 
বরং আমি চাঁদ'কেই ভালোবেসে রাত পাড় করি
জীবন্ত প্রেমিকার কাছে ভালোবাসা যেখানে মূল্যহীন, 
ব্যস্ত নগরীতে প্রেমিকারা যখন উপেক্ষা করে যায়
চাঁদ দিয়ে যাচ্ছে ভালোবাসা;করছে ভুবন নিশিতে রঙিন ।

৩৪)
এরপর আর কোনো কথা নেই- 
একদম চুপ থাকো তুমি 
কিসের এতো কথা তোমার?
ভালোবাসবে এটাই বেশি
অল্প কথায় থাকো খুশি 
ব্যস্ত আমি অন্যদিকে,ব্যস্ততা খুব আমার। 

৩৫) 
চাঁদের শহর পাড়ি দিবো 
হাটতে হাটতে চাঁদে যাবো-
সঙ্গে যাবে নাকি? 
সিড়ি মই কই পাবো 
ভড়কে গিয়ে থমকে রবো-
দিবে না তো ফাঁকি? 
চাঁদে যাবে নাকি কন্যা 
চাঁদে যাবে নাকি? 

৩৬) 
ঠেলে দিলেই কাঁদেনা সবাই
হাসা'র লোকও আছে,
কান্নাকাটি দাফন করেই
হাসতে হাসতে বাঁচে। 

৩৭) 
সন্ধ্যে নামা আকাশটা'তে
কাব্য ছুড়ি তোমার নামে,
আমার মনের পোস্ট অফিসে 
চিঠি আসেনি কোনো খামে!

৩৮) 
কালো ঘরেই ভালো থাকে
ছেড়ে যাওয়া প্রিয়জন,
বাঁচিতে বুঝেনা মনের মানুষ 
মরিলে করে আপন। 

৩৯) 
কাজল চোখে রঙিন ঠোঁটে 
মনে দিও চোট,
তোমার মনে নির্বাচন হলে 
একা-ই দিবো হাজার ভোট। 

৪০) 
হাসির ছলে কথা বলে
দুঃখের করি খোঁজ, 
সুখটা আমার ভিতর বাহির
দুঃখ টা নিখোঁজ। 

৪১) 
চক্ষু দিয়ে ঘায়েল করে
বুকের ভিতর মারো পিন,
এপাশ ওপাশ চৌচির হয়ে
ব্যথায় হৃদয় করে চিনচিন। 

৪২) 
তোমার ভিতর আমায় একটু
বাঁচতে দিও প্লিজ,
দিব্যি তোমায় বাসবো ভালো 
করছি যে প্রমিজ। 

৪৩) 
তোমার অস্তিত্ব জুড়ে আমি নই বিদ্যমান,
আমার শিরা উপশিরায় তুমি রয়েছো বর্তমান।

৪৪) 
সে চায়-
আমি যেনো তারে ভালোবেসে যাই,
আমি একগাল হেসে নিশ্চুপ হয়ে বলি
ভালোবাসা তোরে লাল সালাম;জানাই বিদায়, 
তবুও সে চায়-
আমি যেনো তারে ভালোবেসে যাই। 

৪৫)
শিকলে বন্দী করে আমায়
নিজেকে করেছো নিজে খুন,
পারিনি আমি ভাঙ্গতে শিকল
আঘাতে আঘাতে হয়েছি অনুভূতিহীন। 

৪৬) 
বিপদ এলেও হাসতে জানি
      চেপে রেখে বুক,
  যা হবার তা হবেই হবে
গোমড়া হবেনা তবুও মুখ।

৪৭) 
ভাইরাল হওয়ার ভয়ে আমি
চুমু পাঠাইনি চ্যাটে,
'ভালোবাসি' মুখেই বললাম
চুমু রেখেছি ঠোঁটে। 

৪৮) 
আমি জগদ্বিখ্যাত প্রেমিক নই,
তোমায় দেখে তবুও কেনো
তোমার প্রেমে আক্রান্ত হই!
বিশ্বাস করো মায়াবতী -
আমি জগদ্বিখ্যাত প্রেমিক নই। 

৪৯) 
সন্ধ্যে হলেই অন্তর জ্বালাও
রাত্রি হলেই ঘুম কাড়ো,
মন নিয়ে খেলা করার
অভ্যাস টা এবার ছাড়ো৷ 

৫০) 
প্রেমিকার ঠোঁটের উষ্ণ তাপ
 তুমি ছুঁয়ে দেখো না বালক
        পাপ হবে পাপ। 

৫১) 
চোখ দুটো টলোমলো 
মুখ জুড়ে হাসি,
মনের শহরে বিচ্ছেদ বাধানো 
আসামির হউক ফাসি৷

৫২) 
আমি এমন একটা মানুষ  চাই
আমার মনের দামে,
বিশ্বজুড়ে চিনবে তারে
সবাই এক নামে।

৫৩) 
মায়ায় বেঁধো না আমায়
মায়া'তেই যত ভয়,
মায়ায় আটকে নষ্ট করেছি সময়
ভালোবাসার হয়েছে অবক্ষয়। 

৫৪) 
তুমি আরো ঘৃণা করো
আমি আরো সুখী হই,
সমালোচনার ঝড় তোলো বারংবার 
আমি যেন সবার আলোচনায় রই।

৫৫) 
চোখের ইশারায় প্রেম নেই
ঠোঁটের ইশারাতেও খুঁজলে হবে ভুল,
মনের ইশারায় প্রেম খুঁজে দেখো
হাত বাড়ালেই পাবে লাল গোলাপ ফুল।

৫৬) 
শব্দ প্রেমীরা-ই শব্দ নিয়ে খেলে
ছন্দের পাহাড় সাজায় নতুন শব্দ পেলে,
ভিন্নভাবে করে তারা কাব্য কথার গঠন 
শব্দের শূন্যতাকেই ভাবে তাদের পতন৷ 

৫৭) 
গলে গিয়ে বলে দাও ভালোবাসি প্রিয়
বিরহ ভুলে গিয়ে আপন করে নিও,
দুঃখের বেড়াজালে থেকো না বন্দী 
চোখেচোখে চোখ রেখে গড়ে তোলো সন্ধি। 

৫৮) 
নিজের মত বাঁচতে শিখো
নিজের মতই হাসো,
অন্যের মত হতে গিয়ে
সমুদ্রে কেন ভাসো?
হাসিটাকে আপন করেই
পা বাড়িয়ে চলো,
অন্যের কথায় থমকাবে কেন?
সেটা আমায় বলো।

৫৯) 
নিয়তির আঘাতে ভাঙ্গে যে ঘর
সে ঘরেই দাফন করে আপন হয় পর,
সময়ের ব্যবধানে নতুন যারা আসে
ক্ষত হওয়া হৃদয় দেখে তারাও মুচকি হাসে৷ 

৬০) 
আমাদের কোনোকালেই প্রেম ছিলোনা এই জগতে
আমরা একে অপরকে ভালোবাসতাম,
আমাদের সবাই  পাগল বলতো অযথাই 
আমরা শুনে অকারণেই খিলখিলিয়ে শুধু হাসতাম। 


Monday, November 18, 2019

ইসহাক মাহমুদ এর অণুকাব্য (১-৩০)

ইসহাক মাহমুদ এর
অণুকাব্য

১)
আমাদের আকাশে ঘনঘন মেঘ জমেনা
কারো মনে রাগ জমিলে খুব সহজে তা কমেনা,
আমাদের সীমান্তে সব মানুষের জায়গা হয়না
শান্ত পাখি বোবা হলে খুব সহজে কথা কয়'না। 

২) 
আমি যারতার ভালোবাসায় মজি নাহ,আমি যার তার ভালোবাসায় মজি। 
আমি যারতার কাছে যেতে চাইনা,আমি যার তার কাছে যেতে চাই। 
আমি যারতার রূপের প্রশংসা করিনা,আমি যার তার রূপের প্রশংসা করি। 
আমি যারতার জন্য কাব্য বুনি নাহ,আমি যার তার জন্য  কাব্য বুনি। 

৩) 
তারা'রা জেগে আছে কিনা দেখো
জোনাকি'রা দিচ্ছে কি আলো?
আকাশের মতো বিশাল হতে শেখো
মনের মানুষ যেথায় থাকুক; মন রেখো ভালো।

৪) 
পূর্ণতায় ভাসি-ডুবি
শূন্যতার বালাই নাই,
একাকীত্ব আর বলেনা
আমার একটা তুমি চাই। 

৫) 
যদি নাম বদল করেলেই মানুষ বদলে যেতো,
তবে অমানুষ গুলো রাত পেরুলেই টাটকা মানুষ হতো। 

৬) 
পৃথিবীর দূরত্ব তুমি মাপতে পারো অনায়াসে
মনের দূরত্ব মাপার সাধ্য তোমার আদৌও নেই,
ভেবে দেখো- ভালোবেসেছে কেউ তোমায় প্রকাশ্যে
সে বিলীন হয়নি,তবে বিলীন করেছে তোমাকেই। 

৭) 
যে মানুষটার বন্ধু নাই
সেই মানুষটা কষ্ট পায়,
যে মানুষটার বন্ধু আছে
সেই মানুষটা হাসতে হাসতে বাঁচে।

৮) 
রাতের আকাশ কালো হলে
জ্যোৎস্না হারায় আলো,
প্রিয়জনের অসুখ বাধলে 
মন থাকেনা ভালো। 

৯) 
বুকের ভিতর পুষে রাখি দুঃখ দিবানিশি, 
হয়না দেখা হয়না কথা তাতেও নই খুশি।  
আমার  কষ্ট জমে নষ্ট মনে থাকে বারোমাস, 
আমি তোমায় চেয়ে মনের ভুলে ডেকে আনি সর্বনাশ ।  

১০) 
আমি দূরে দূরে যাই আরও দূরে সরে
কাছে আসার সব আয়োজন মিথ্যে করে,
পৃথিবীর টানে কিংবা তোমাদের ভুলতে গিয়ে
আমি দূরে দূরে যাই আরও দূরে যাই মিলিয়ে। 

১১) 
আমৃত্যু ভালোবেসে যাবো লিখে নাও,
মৃত্যুর পরে মনে আসন দিবে কথা দাও। 

১২) 
আকাশ জুড়ে মেঘ জমেও
মাঝেমধ্যে বৃষ্টি হয়না,
হৃদয় মাঝে ক্ষত হলেও
মানুষ তারে কষ্ট কয়'না। 

১৩) 
লিখার জন্য একটি সৎ চরিত্র খুঁজে বেড়াই,
অথচ সব চরিত্র-ই বেঈমানী করে চলে যায়। 

১৪) 
সব মানুষ সব মানুষের 
ভালোবাসার কারণ হয়না,
সব মানুষকে সব মানুষের
ভোগবিলাসী মনে সয় নাহ। 

১৫) 
যখন আমি তোমার ছিলাম নানান বাহানায়
তখন কেবল তুমি ছিলে আমার কল্পনায়,
যখন আমি আমার হলাম তুমি ছাড়ার পরে
তখন সবাই আমার হলো কাব্যকথার সুরে৷

১৬) 
আকাশ ছুঁইছুঁই গল্পে কারো
নাম লিখিনি খাতায়, 
ঠাঁই মিলেনি কাব্যে কেউ
ঠাঁই মিলেনি চিত্রের পাতায়। 

১৭) 
চন্দ্র সূর্য গ্রহ তারা
জ্যোৎস্না রাতের আলো,
তারও চেয়ে সুন্দর তুমি
তোমায় বাসি ভালো। 


১৮) 
আমার বিষন্নতা তোমায় করেনি গ্রাস
হওনি কখনো দোষী, 
আমার এলোমেলো ভাবনার ছিলেনা ত্রাস
চেয়েছি তুমি হও খুশি। 


১৯)
সে যে ভীষণ ব্যস্ত এখন
আড়াল হতে চায়,
অন্ধকারে আলো জ্বেলে 
তার অস্তিত্ব বুঝায়।


২০) 
সিন্ডিকেটের মারপ্যাঁচে দেশটা এখন জিম্মি 
রসাতলে গেলো ডুবে সব ই,
বাড়ছে সবার হয়রানি তাই সস্তায় নাই সদাই
নানান দিকে ছড়াচ্ছে ভোগান্তির মূল ছবি। 

 
২১) 
তোমার আমার এক-জনমের দূরত্ব 
ভালোবাসায় একশো একটা বাধা,
এই ভুবনে জমছে নাহ প্রেম আর
ভালোবাসতে গেলেই দেখি চোখে গোলকধাঁধা। 

২২) 
সাগরের ঢেউ আমাকে ভীষণ টানে
বাতাসের প্রতিধ্বনি বুঝেনা তার মানে,
আমি সাগরকে উদ্দেশ্য করে বলে যাই -
হৃদয়ের সব অব্যক্ত কথন, 
বাতাস এসে মিলিয়ে দিলো কথাগুলো 
বাধতে দিলোনা "হৃদয়ের কানেকশন"। 

২৩) 
দিয়াশলাই'য়ের কাঠি দিয়ে 
মোমবাতি টা জ্বালাও,
আলোর ভিতর ঝলসে গিয়ে
আরো আলো দাও। 

২৪) 
সুখের পাখি যায়'রে উড়ে
পেখম তুলে আকাশে,
সুখটা আমার সয়'না মনে
মুখটা যে হয় ফ্যাকাসে। 

২৫) 
আমি বরং হেসেখেলে-ই বাঁচি
নিকষ কালো অন্ধকারে, 
তুমি বাঁচো আলোর শহরে
অন্য কারো সংসারে। 

২৬) 
সাগরের তীরে মানুষের ভীড়ে
হারানোর আশা পেলে ভালোবাসা,
ঢেউয়ের প্রেমে বাতাসের ছোঁয়ায় 
জমতো ভালোবাসা এই মন পাড়ায়। 
ফেলে আসা স্মৃতি জমানো ছবি
মুগ্ধতায় মুখোর আমি হয়েছি কবি,
হৃদয়ের কথা লুকানো ব্যাথা 
মিলিয়ে দিও তলিয়ে দিও এসে হেথা।

২৭) 
ফের কবে দেখা হবে আমাদের
ডায়েরিতে রেখেছো কি লিখে?
এই গল্পের শেষ  কোথায় গিয়ে!
ঘুম ভাঙ্গলে জানিয়ে দিও ডেকে। 

২৮) 
আস্ত একটা মন নিয়া 
পড়ছে মানুষ বেকায়দায়, 
এদিক থেকে ওদিক হলেই 
এক নিমিষেই জ্বলে যায়। 

২৯) 
আমি তারে অদেখাতেই দেখেছি বহুবার
স্বপ্নের ঘোরে বহুবার নিয়েছি পিছু,
তার নাম কি! গ্রাম কই! স্পষ্ট সে দেখতে কেমন!
জানা হয়নি আজও তার ব্যাপারে কিছু। 

৩০) 
"ভালোবাসা" শক্ত করে ধরতেই শিখায়। 
          নরম হাতের ধরায় -
 ভালোবাসা উড়ে যায়,পুড়ে যায়,
ছেড়ে যায়,দূর থেকে বহুদূরে যায়।



Thursday, November 14, 2019

সেরা ৩০ টি উক্তি - ইসহাক মাহমুদ

  ইসহাক মাহমুদ এর উক্তি সমূহ   

(১)
লাশ গুণে দেখো তো কতো হলো,
আরেকটা লাশ লাগলে ভয় করোনা আমায় বলো ।

(২) 
বিদেশী প্লেয়াররা ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলার পর মাঝেমধ্যে দু'য়েকদিন খারাপ খেলে,অন্যদিকে আমাদের দেশি প্লেয়াররা ধারাবাহিকভাবে খারাপ খেলার পর মাঝেমধ্যে দু'য়েকদিন ভালো খেলে ।

(৩) 
কেমন মানুষ চাও তুমি,
কেমন মানুষ? 
সুযোগ পেলেই আঘাত করে,
এমন মানুষ! 

(৪) 
আগুন কখনো আগুনে পুড়ে না 
সাগর ডুবে না জলে,
ভুল কখনো ভুল করে না
মিথ্যে শহর তলে। 

(৫) 
অনেক কিছু বলার থাকলেও,মাঝেমধ্যে চুপ হয়ে যেতে হয়।
পরিস্থিতি চুপ হয়ে যেতে বাধ্য করে।

(৬) 
ছবির মানুষ ছবিতেই সুন্দর 
বাস্তবে নয় জিরো,
নানান চিত্রে নিজকে সাজায়
লোকের চোখে হিরো। 

(৭) 
দেশের কল্যাণে যুদ্ধ করে মারা গেলে শহীদ আর বেঁচে থাকলে গাজী। কিন্তু জীবনযুদ্ধে মরে গেলে লাশ আর হেরে গেলে সর্বনাশ । 

(৮) 
পদ্মবিলে মায়াবতী পদ্ম নিতে এসে
নয়া মাঝির প্রেমের ফাঁদে গিয়েছে যে ফেঁসে,
যেই মেরেছে ছুঁড়ে পানি মায়াবতীর পানে
হাসির রেখা আঁকলো ঠোঁটে প্রেম শিকারীর টানে। 

(৯) 
আমাদের বোঝাপড়া হয় শব্দের গহীন অরণ্যে 
মিলেমিশে হয়ে যাই একাকার নিরালায়, 
একের চাহিদা অন্যে মিটিয়ে আমরাও তৃপ্তি পাই
শব্দের খেলা চলে প্রতিনিয়ত আমাদের এই আঙ্গিনায়। 

(১০) 
তুমি পৃথিবীতে আধিপত্য বিস্তার করবে,
আর আমি শূন্যতা বুকে নিয়েই মরে যাবো!
এমন ভাবলে বোকামি হবে; জেনে রেখো-
আমিও পূর্ণতা কাকে বলে তা দেখিয়ে দিবো। 

বুঝি,সব ই বুঝি
তবুও চুপ থাকি অবেলায়,
আমারও সময় হবে নিজেকে চেনানোর 
বিস্তৃত জনতার মাঝে একুশে বইমেলায় । 

(১১) 
তুমি আরো ঘৃণা করো
আমি আরো সুখী হই,
সমালোচনার ঝড় তোলো বারংবার 
আমি যেন সবার আলোচনায় রই।

(১২) 
বাপ যেখানে কয়না কথা
পোলা সেথায় লাফায়,
নাতির লাফানি দেইখ্যা দাদায়
কাশতে কাশতে হাফায়। 

(১৩) 
কারো কবিতায় রূপ আঁকা হয়
কারো কবিতায় সুখ,
কেউ আঁকেন তরুণীর গঠন
কেউবা বয়স্ক মুখ ।

(১৪) 
সম্পর্কের সুতোয় সম্পর্ক বেধে
আটকা পড়ি মায়ায়,
অঙ্কুরে বিনষ্ট সম্পর্কেও সম্পর্ক খুঁজি
অস্পষ্ট তোমার ছায়ায়।

(১৫) 
ক্রমাগত আমাদের পরিবর্তন ঘটে
আমরাও বদলে যাই ধরায়,
ভালোবেসে পরাজিত আমিও হই
জয়ী হও তুমি বংশপরম্পরায়। 

(১৬) 
কিছু অদ্ভুত প্রশ্নের ভীড়ে
জ্ঞানী পড়েছে চাপা, 
হয়নি তার কিছুই বলা
পৃথিবী হয়নি মাপা।

(১৭) 
কারো স্বপ্ন সাইকেলেও
তাকে নিয়ে উড়ে,
কারো স্বপ্ন বৃত্তে আটকে 
পূব পশ্চিমে ঘোরে। 

(১৮) 
তব'দাহে মন ব্যথিত জীবন 
করিনু গোপন প্রেম,
ললাটের লিখন যায়'কি খণ্ডন 
শুধাও রাধা-শ্যাম। 

(১৯) 
মানুষ ছেড়ে যাওয়ার পরে মানুষ মানুষকে ধীরেধীরে ভুলে যাবে,এটাই মানুষ হিসেবে মানুষের সহজ সমীকরণ। 

(২০) 
পৃথিবীর ভিতরেও আমরা 
নিজস্ব একটা পৃথিবী খুঁজি,
শব্দের তুলি দিয়ে পৃথিবীকে 
সাজাই নীরবে চোখ বুজি। 

(২১) 
নিয়ম মেনে বালিশ নিয়ে ঘুমিয়ে পড়ো তুমি
আমার এখন হচ্ছে কেবল ঠিক সন্ধ্যেবেলা 
আকাশ থেকে ঘুম পরী'রা আসুক নামি ঘুম পাড়াতে
দেখবে তখন কেমন আমি,কেমন আমার খেলা। 

(২২) 
সময়কে অবজ্ঞা করোনা, সময় বড়ই মূল্যবান ।  কেননা প্রতি মিনিটে অন্তত ৬০ বার টিকটিক শব্দ করে হলেও তোমাকে বুঝিয়ে দেয় জীবন থেকে কিভাবে মহামূল্যবান ১ মিনিট সময় ঝরে গেলো। 

(২৩) 
মন খুলে যে হাসতে জানে
তার সীমানায় দুঃখরা হানা দিয়েও সুখের অস্তিত্ব বিলীন করতে পারেনা।

(২৪) 
নির্দিষ্ট কোনো মানুষকে ভালোবাসলে  কষ্ট পেতে হয়,সুখে থাকার জন্য অসংখ্য মানুষকে ভালোবাসতে হয়। 

(২৫) 
এখানে সত্যের কদর নেই
বলেছে ইস্কু ভাই,
এখানে মিথ্যে দিয়ে মন ভরালেই
করবে নাম কামাই।

(২৬) 
পরিচিত মুখ যখন অপরিচিতির রেখা টানে,তখন নিজের কাছে নিজেকেও অপরিচিত লাগে।

(২৭) 
শুনিও জ্ঞানীর কথা সর্বদা 
যদিও হয় ছোট জন,
করিও গুরুজনে ভক্তি শ্রদ্ধা 
হউক সে যেমন তেমন।

(২৮) 
প্রাইমারি স্কুলের বন্ধু,হাইস্কুলের বন্ধু,কলেজের বন্ধু,ভার্সিটির বন্ধু,গ্রামের বন্ধু,গ্রামের বাহিরের বন্ধু,শহরের বন্ধুদের একই দিনে স্মরণ করতে পারিনা বলেই আমরা সবাইকে ভুলে যাই। 
আমাদের উপর বন্ধুদের এই অভিযোগ । আমরা এই অভিযোগে অভিযুক্ত আসামি। 

(২৯) 
বিশ্বাসের ঘরে ডুকেছে আজ
অবিশ্বাসের জ্যান্ত ভূত,
সালিশ  ডাকলো ঘরের মালিক
মিথ্যা হইলো ভূতের দূত। 

(৩০) 
আমাদের সীমান্তে ছড়িয়ে থাকে
আকাশের লেপ্টে থাকা প্রেম,
দখিনের হিমেল হাওয়ায় শোনা যায়
তোমাদের জুড়ে দেওয়া নিক নেম।



Thursday, October 31, 2019

অতীত বর্তমান

অতীত-বর্তমান
লেখকঃ ইসহাক মাহমুদ  



যে পথ ধরে সবুজের বুকে আমি নিজেকে হারাতে চেয়েছি এখন,
ঠিক এই পথেই আমার শৈশব কেটেছিল একসময়। 
যেখানে বসে আনমনে ভাবছি কি করা যায়,
সে জায়গাতেও আমার বছর ছয়েকে'র স্মৃতিচারণ রয়েছে।

আমি এখানে দাপিয়ে বেড়িয়েছি আমার ছেলেবেলায়,
সেখানে বসেই আমার প্রাণহীন কবিতা এখন আমার কলমের ডগায় প্রাণ ফিরে পেয়েছে । 

এখানে বসেই আমার অতীত আমাকে বলে বেড়ায়-
সবুজের বুকে আমি
খুঁজি শুধু নীল,
বেদনার পাখি হয়ে
উড়ে গাঙচিল। 

নীরবে নিভৃতে নিয়মের কাছে আমিও নিজেকে সঁপে দিয়ে এটা-সেটা লিখে চলেছি অবিরাম। 

এই যে বৃক্ষের সমারোহ দেখছেন,
একসময় এখানে কিছুই ছিলোনা,
ছিলো কেবল আমার অতীত-
আর আমার কিছু হারিয়ে যাওয়া স্মৃতি। 
আমি ভাবনায় মগ্ন হলাম ক্ষনিকের জন্য। 
আবার লিখতে বসলাম,
পূনরায় নিজেকে ভাবনার জগতে হারাতে দিলাম। 

কাজী নজরুলের "সঞ্চিতা'র" বুকের ভিতর আমি আমাকে খোঁজার জন্য ব্যাকুল হয়ে পড়লাম। 
এপাঠ-ওপাঠ উল্টিয়ে আমি আমাকে পড়তে শুরু করেছি,তবে আমি হতাশ হয়েছি। 
কোথাও আমার অস্তিত্বের ছিটেফোঁটাও নেই,
মাছ ধরার এই জাল'ও বলে দিচ্ছে-
এখানে অতীত বলতে কিছু নেই,
সবাই খালি হাতেই ফিরেছে এখান থেকে। 

নদীর এই ছোট্ট শাখা'টিতেও আমার গায়ের গন্ধ মিশে আছে,
তাইতো পড়ন্ত বিকেলে এখানেও নিজেকে খুঁজতে লাগলাম,
সঞ্চিতা-তুমি বলে দাও,
আমি কি এখান থেকেও নিজেকে হারিয়েছি?
আমার অস্তিত্ব কী এখানেও বিলীন?

তোমার উত্তর আমায় হতাশ করলো,
অতঃপর আমি আবার- 
নতুন রাস্তায় ফিরে যেতে বাধ্য হলাম। 
মাঠে পড়ে থাকা রাখাল বিহীন এই গবাদি পশুগুলোও বলে দিচ্ছে-
এখান থেকে সবাই খালি হাতেই ফেরে। 

সবশেষে আমি সবুজের পথ ধরেই নিজ গন্তব্যে হাটা আরম্ভ করলাম-
সবুজের ছোঁয়া নিয়েই বাড়ি ফিরলাম।

Friday, October 25, 2019

বয়সের ছাপ || কবিতা || ইসহাক মাহমুদ

|| বয়স তার ছাপ এঁকেছে ||
|| ইসহাক মাহমুদ ||   


ছবি সুত্রঃ Pinterest


চোখ দেখে তার হয়নি জানা রাগ জমেছে কই,
মুখ দেখে তার যায়নি বুঝা ক্যানো রাগলো সই! 
চালচলনে আসলো বদল নতুন রূপের সাঁজ,
মুখ লুকিয়ে চলছে সখী সারা অঙ্গে লাজ। 

কি হয়েছে তার
যায়নি কিছুই জানা,
গোপন ক্যানো হলো
করলো কে-বা মানা! 

কথায় কথায় খই ফোটানো কন্যা কেনো চুপ! 
কে থামালো মুখের কথন দেখবো তাহার রূপ। 
যারে দেখতে জোয়ান বুড়া বাধিয়ে দিতো লাইন,
কিসের তরে মানছে সে আজ নতুন কোনো আইন! 

মুখ লুকালো ক্যান 
জানতে হবে আজই,
বের করবো রহস্য 
কাল ধরেছি বাজী। 

যেইনা পিছু গেলাম সখির দেখলাম এ-কি ভাই!
রূপের কন্যা রূপ হারানো; আগের মত নাই। 
বয়সে তার ছাপ এঁকেছে কন্যার পুরো অঙ্গে,
আজকে কন্যা মুখোশ খুললো বুড়ি রূপের ঢঙ্গে। 

Wednesday, October 23, 2019

সম্পর্ক || Relation || গদ্য কবিতা ||


সম্পর্ক || Relation
Writer: Ishak Mahmud 


ভালোবাসি ভালোবাসি বলে 
অনেকগুলো বছর নষ্ট হয়েছে আমার। অথচ আমি-
ভালোবাসার শিকলে-ই আবদ্ধ হতে পারিনি,
আবদ্ধ হতে পারিনি মায়াডোরে। 
আমাকে তার মনের মতো করে
সাঁজাতে পারনি কোনোকালেই ।
নিতে পারিনি তার হৃদয়ের দখলদারিত্ব, হতে পারিনি প্রেয়সীর হৃদয়ের জমিদার। 
একে একে অনেকটা সময় আমি একজনের মায়া'তেই আটকে ছিলাম, থমকে রেখেছিলাম আমার আমি'টাকে। 

লেগে থাকো ফল পাবে,
একথা শুনতে শুনতেই 
লেগেছিলাম রমণীর পিছে। সকাল,বিকেল,রাত জুড়েই 
মস্তিষ্কে ছিলো কেবল তার বিচরণ। 
অথচ কি ঘোরের মধ্যেই না ছিলাম! 
যে সম্পর্কের অতীত,বর্তমান আর ভবিষ্যৎ বলতে কিছুই নেই,
সেই সম্পর্ককে বাঁচিয়ে রাখতেই 
আমি নষ্ট করলাম একযুগ। 
নামহীন অজ্ঞাত এক সম্পর্ক 
প্রাণ নামক সত্ত্বা নিয়ে টিকে ছিলো 
৪৩৮৩ দিনেরও অধিক সময় জুড়ে। 

আমি যেটাকে ভালোবাসা ভাবতাম,
সেটা ছিলো নিতান্তই আমার ভ্রম। 
আমি যেটাকে প্রেম ভাবতাম,
সেটা ছিলো একপ্রকার পাগলামি । 
যেইনা একদিন 
মিথ্যে মায়ায় আটকে দিয়ে হাত ধরলো,
অমনি আমি তাকে আমি জনম-জনমের সঙ্গী হিসেবে ভাবতে শুরু করে দিলাম! 
সম্পর্ক তো এতো সস্তা নয়,সম্পর্ক-
কোনো মামার বাড়ির আবদারও নয়। 
সম্পর্ক মামার হাতের মোয়া নয়,
সম্পর্ক মানেই- 
পুতুলের সাথে পুতুলের বিয়ে নয়। 
তবে সম্পর্ক কি!

সম্পর্ক মানেই হচ্ছে একটি সত্বা আরেকটি  সত্বার কাছে নিজেকে সঁপে দেওয়া। 
বাবা মায়ের কাছে সন্তান হিসেবে,
সহপাঠীদের কাছে বন্ধু হিসেবে,
ভাইবোনের কাছে ভাই/বোন হিসেবে,
প্রেয়সীর কাছে প্রেমিক হিসেবে৷ 
যদি নিজেকে সঁপে -ই না দেওয়া যায়,
তবে-
তা কোনো সম্পর্কের আওতায় পড়েনা। 
তবুও মানুষ সম্পর্কের ভিতর সম্পর্ক খোঁজে; তবুও সম্পর্কের বন্ধনে সম্পর্ক আবদ্ধকরণ করা যায়না। 

তবুও মানুষ নিজেকে মিথ্যে সম্পর্কের বেড়াজালে জড়ায়,
তবুও মানুষ সম্পর্কের খাতিরে সম্পর্কের জন্য হাত বাড়ায়।
___________
কিছু অদ্ভুত প্রশ্ন→    https://ishakmahmud.blogspot.com/2019/10/kichu-odvut-prosno-bangla-kobita.html?m=1

Sunday, October 20, 2019

কিছু অদ্ভুত প্রশ্ন || Kichu odvut prosno || বাংলা কবিতা || Bangla kobita ||

কিছু অদ্ভুত প্রশ্ন  
 || ইসহাক মাহমুদ ||  


একদা আমি-
মাথাভর্তি উদ্ভট কিছু প্রশ্ন নিয়ে 
পৃথিবীর পথ ধরে হাটছি উত্তরের খোঁজে। 
কিছু পথ অতিক্রম করতেই 
মিললো এক জ্ঞানীর সন্ধান৷ 
তাঁর থেকে অনুমতি নিয়েই,
আমি প্রথমে জিজ্ঞেস করলাম তাঁকে,
পৃথিবী হতে পৃথিবীর দূরত্ব কতো?
জ্ঞানী ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলে,
দু'গালে হাত দিয়ে ভাবতে লাগলো জ্ঞানী। 
আজব! এমন প্রশ্ন-ও মানুষ করে! 
পৃথিবী হতে পৃথিবীর আবার দূরত্ব কিসের! 
পাগল নাকি লোকটা! 
নাকি হাঁদারাম! 
এমন প্রশ্ন কোথায় পেলো,
কে দিলো এই কাম! 


আমি পূনরায় জিজ্ঞাস করলাম। 
সাগর থেকে সাগরের গভীরতা কতোটুকু? 
প্রশ্ন শুনেই মাথা চুল্কাতে শুরু করে দিলো জ্ঞানী। 
আবার ভাবতে শুরু করলো। 
কি অদ্ভুত প্রশ্ন রে বাবা! সাগর থেকে সাগরের গভীরতা মাপা যায় নাকি! 
সাগর তো সাগর ই,
সাগর থেকে সাগরের গভীরতার কথা তো বাপের জন্মেও শুনিনি। 
লোকটা নিশ্চয়ই গাঁজা খেয়েছে,
তাইতো এমন উদ্ভট প্রশ্ন পেয়েছে। 

আমি আরেকবার জ্ঞানী'কে প্রশ্ন করলাম। 
আচ্ছা- 
আকাশ থেকে আকাশের উচ্চতা কতফুট?
এবার তো জ্ঞানী মাটিতেই বসে পড়লো। 
এদিক-সেদিক তাকিয়ে ভাবতে লাগলো, 
লোকটা হয়তো পাগলামি করতেছে। 
কি সব আবোলতাবোল বকাবকি করছে! 
পৃথিবী থেকে পৃথিবীর উচ্চতার কথা আসলো কোত্থেকে! 
পৃথিবী কী আরেকটা আছে!  
থাকলে তো বিজ্ঞান অনেক আগেই আবিষ্কার করে ফেলতো তা,
হাজার বছর ধরে-
আমাদের অজানা ছিলো যা। 

সবশেষে আমি পুছিলাম জ্ঞানীর কাছে। 
আচ্ছা-বলেন তো দেখি,
মরিবার পরেও মানুষ কিভাবে বাঁচে?
কি সাংঘাতিক কথা রে বাপ! 
মরার পরেও মানুষ বাঁচে!
শুনিনি তো আগে৷ 
জ্ঞানীর মাথায় যেনো পড়লো বজ্রপাত,
অজ্ঞান হয়ে-
মাটিতে লুটিয়ে পড়েছে জ্ঞানী। 
জ্ঞান হারাবার আগে-
পাগলের মতো হাসতে হাসতে বলে গেলো,
হে পৃথিবী শুনে রাখো
আমি সব জানি,
নই'তো আমি পাগল ভবে
আমি হলাম জ্ঞানী। 





Sunday, October 13, 2019

Forbid to dream || স্বপ্ন দেখতে বারণ


Occasionally sitting for something like that,
The ability to get -
I didn't have any at all.
It is a crime to set foot on the floor,
On that floor -
dayanishi walks my walk.

My bright future is right before my eyes
Shining with the flame.
Whenever I reach for the legs,
I was interrupted by a clear glass.
This glass cannot be broken,
It is as if the glass has formed a divide between the future and the present.

I can't go back,
There are no restrictions.
I can't keep up with the present,
There is fear.
I can't move on to the future,
The barrier comes.

I have to walk like I do,
In all situations, you have to adapt yourself.
I have no way to go back,
You have to give yourself the leadership ahead.

I want the sky
Zero hands on power,
Dream about with whom
Spend a quiet night hoping for him.

______________________________________

Poem: Forbid to dream

Poet: Ishak Mahmud